ডীপফেইক

এই বছরের শুরুর কথা। রেডিট ইউজার ‘ডীপফেইক’ বেশ কিছু ‘ফেইক’ ভিডিও পোস্ট করে। ভিডিও তো সবাই পোস্ট করে, এর সমস্যা কী? মানুষকে জানিয়ে সে বেশ কিছু ‘ফেইক’ ভিডিও পোস্ট করে যা দেখলে সবাই বিশ্বাস করবে। এতোটাই ‘রিয়েলিস্টিক’, মানুষ তব্দা খেয়ে গেলো। গলাকাটা পাসপোর্টের মতো। এখন সেটা ভিডিওতে। সে আবার নকল ভাবে কথা বলছে, হাসছে, গালেও টোল পড়ছে। সাধারণ ল্যাপটপ দিয়ে করা যাচ্ছে জিনিসগুলো। পেছনে আছে ডীপ লার্নিং। আর তাই নাম ‘ডীপফেইক’। বোঝা গেলো হলিউডের প্রযুক্তি চলে এসেছে মানুষের ঘরে। ডীপ লার্নিং এর কল্যানে।

ব্যাপারটা নিয়ে বিপত্তি হচ্ছে অনেক। পারিবারিক মজা অবশ্য কিছুটা আলাদা। দেখা যাচ্ছে, অনেকেই তার বউকে পাঠিয়ে দিচ্ছে ‘টুনাইট শো’তে। ধরা যাক, মজা করার জন্য বলছি - চেষ্টা করলেই নাভিদ ভাইয়ের শো’তে দেখানো যাবে আপনাকে। ওই শোতে বর্তমানে যিনি আছেন - মানে আসলজন, তার হয়তোবা ছবি লাগবে হাজারের মতো। দেড় হাজার হলে ভালো। ইন্টারনেট, ফেইসবুক ঘেঁটে পাওয়া যাবে সেটা। ফেলে দিতে হবে বেশ কিছু ছবি। আর ‘নকল’ আপনি - তার জন্য লাগবে ছবি লাগবে ২ হাজারের মতো। তাহলেই দেখা যাবে একদম আসলের মতো।

ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির জন্য এই জিনিসটা অন্য লেভেলে নিয়ে যাবে। এই ড্রেসটা আমাকে কেমন লাগছে সেটা দেখিয়ে দেবে এই ডিপ লার্নিং। কোন স্টাইলের চুল আমার সাথে যাবে সেটা দেখিয়ে দেবে আগেভাগেই। ‘কোজাক’ (আমাদের সময়ের একটা টিভি সিরিজ) হলে কেমন লাগবে সেটা দেখিয়ে দেবে আপনাকে ৩৬০ ডিগ্রী। তারপর ন্যাড়া হলে আপত্তি কি? দেখে শুনে বুঝে তো ন্যাড়া হয়েছি।

Last updated