যদি নায়ক না থাকে?
‘কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা’র সাথে ‘ডীপ লার্নিং’ এর কাজে ‘কম্পিউটার ভিশন’ কিন্তু অন্য লেভেলে চলে গেছে। মনে আছে আমাদের সময়ের গলাকাটা পাসপোর্টের কথা? সেটা তো গেল এনালগ যুগের গল্প। এখন তো জিনিস চলে গেছে অসাধ্য সাধনের জায়গায়। মনে আছে পল ওয়াকারের কথা? যিনি মারা গিয়েছিলেন ‘ফিউরিয়াস ৭’ শুটিং এর সময়। ডিরেক্টরের হাতে ছিলো দুটো অপশন। বলতে - ওই মুহূর্তে। ১. নতুন করে - একেবারে নতুন নায়ক দিয়ে শুটিং শুরু করা, অথবা ২. আমাদের মতো ‘ডীপ লার্নিং’ এক্সপার্টদের হায়ার করা।
পরের গল্প সবার জানা। ২০১৩ সালে প্রযুক্তি অতোটা ভালো না হলেও তারা নামিয়ে দিয়েছিলো অসাধারণ কাজ। ওই সময়ের পার্সপেক্টিভে। বরং তৈরি করে দিয়েছিলো ৩৫০টা ‘স্টানিং’ মানে অবিশ্বাস্য কম্পিউটার জেনারেটেড গ্রাফিক্স। মনেই হবে না সেটা - পল ওয়াকার নয়। এর মধ্যে ২৬০টা এসেছে পুরোপুরি কম্পিউটার থেকে আর বাঁকি ৯০টা এসেছে পুরানো ছবি আর ভিডিও ফুটেজ এর সুপার ইম্পোজিশন থেকে।
মনে আছে ‘ষ্টার ওয়ারস’ এর ২০১৬এর মুভি ‘রোগ ওয়ান’ এর কথা? অভিনেতা ‘পিটার কাশিং’কে কিন্তু ডিজিটালি আনা হয়েছে উনার মৃত্যুর ২০ বছর পর। এটা নিয়ে কথা হয়েছে - ব্যাপারটার এথিক্যাল ইস্যু নিয়ে - সেটা সামলেছে তারা। অনুমতি নেয়া ছিলো আগে থেকে। আমরা কথা বলবো প্রযুক্তির সক্ষমতা নিয়ে। একই মুভিতে প্রিন্সেস লিয়া’র ছোট্ট একটা সিন পুরোটাই কম্পিউটার জেনারেটেড। আমিও খুব অবাক হয়েছি। তবে বুঝতে বুঝতেই সিন প্রায় শেষ। মনেই হবে না নকল একটা সিন। ইউটিউবে পাবেন সেটা। ‘ক্যারি ফিশার’ অনুমতি দিয়ে গিয়েছিলেন মারা যাবার আগেই।
এখন বড় বাজেটের মুভি তৈরি হবার আগেই নায়ক নায়িকার চেহারার পুরো ‘ডিজিটাল স্ক্যান’ মানে ‘প্রোফাইলিং’ করে প্রোডাকশন হাউজগুলো। ইউটিউব, ফেসবুকে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের নিয়ে আগে থেকে ‘ডিক্লেয়ার’ করা ‘ফেইক’ অডিও আর ভিডিও দেখেছেন আপনারা। কম্পিউটার ভিশনে ‘হগ’ মানে ‘হিস্টোগ্রাম অফ ওরিয়েন্টেড গ্র্যাডিয়েন্ট’ নিয়ে কথা চলছে অনেকদিন। এই প্রযুক্তিটা ‘ফেস ডিটেকশনে’ অসম্ভব জনপ্রিয়। ক্রিমিনোলজিতে ব্যাপারটা নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করতে হয়েছে আমার। দাড়ি গজালেও ফেসবুক আমাদের প্রতিটা ছবি ডিটেক্ট করে কিভাবে? সেগুলোর পুরো ধারণাসহ এরকম আরো কিছু চমক অপেক্ষা করছে বইটায়।
Last updated