কিভাবে এলাম এই শব্দে?

তো, সেনাবাহিনীর মানুষ কিভাবে এলো এই গান প্রযুক্তিতে?

এটা একটা চমৎকার প্রশ্ন। কমিউনিকেশন প্রযুক্তি নিয়েই কাজ করতে চেয়েছি সারাজীবন। সেখানে সেটা ব্যতিক্রম হয়নি সেনাবাহিনীতে এসে। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে। আসলে আমি যখন কমিউনিকেশন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করছিলাম - তখন দেখলাম কমিউনিকেশন প্রযুক্তির শুরুতেই হচ্ছে - "মানুষের কথাকে কিভাবে দূরে পাঠানো যায়?"

তারপর?

মানুষের কথা দূরে পাঠাতে হলে প্রথমে মানুষের কথাকে 'ট্রান্সফার' করতে হবে তরঙ্গে। এমনিতেই আমাদের কথা তরঙ্গে আসে বাতাসে, তবে দূরে পাঠাতে হলে সেটাকে উঠিয়ে দিতে হবে ইলেক্ট্রনিক তরঙ্গে। যেমন টেলিফোনের তার। যদি সেটাকে তার দিয়ে পাঠাতে চাই।

আবার, সেটাকে বেতার দিয়ে পাঠাতে হলে সেখানে আসবে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ। যেভাবে রেডিও দিয়ে আমরা দূরে যোগাযোগ করি। এই শব্দের তরঙ্গকে ইলেক্ট্রনিক তরঙ্গে ওঠানোর পেছনে যে প্রযুক্তি কাজ করছে সেটার পেছনে রয়েছে পুরো মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি।

ডিজিটাল প্রযুক্তি আসার পর ব্যাপারটা আরো সহজ হয়ে গেছে। এখন এই ইলেক্ট্রনিক তরঙ্গের সবকিছুকে 'স্টোর' করা যায় ডিজিটালি, কোন ক্ষয় ছাড়াই। আগে যেটা করতাম ম্যাগনেটিক্যালি, যেমন ক্যাসেট টেপ। তবে, সেটা থাকতো না বেশি দিন। এখন 'ডিজিটালি' ব্যাপারটা অনেক সহজ হয়ে গেছে। এর মানে হচ্ছে যোগাযোগ প্রযুক্তি পড়তে গিয়েই আমাকে জানতে হয়েছে বেশ কিছু জিনিস যেগুলো সরাসরি ব্যবহার হচ্ছে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে:

  1. একটা শব্দকে কিভাবে ইলেক্ট্রো-ম্যাগনেটিক মিডিয়ামে ট্রান্সফার করতে হয়,

  2. কিভাবে শব্দকে আমাদের কাছে দূরে পাঠানো যায়,

  3. আবার, অনেক নয়েজের মধ্য থেকে কিভাবে আসল শব্দকে বের করে আনা যায়,

  4. কিভাবে শব্দগুলোকে ম্যাগনেটিক্যালি এবং ডিজিটালি স্টোর করা যায়,

  5. শব্দের মান অক্ষুন্ন রেখে সেটাকে 'কমপ্রেস' করে দূরে পাঠানো যায়,

বাকি আর না হয় বাদ দেই আজ। আমি কি ভুল বলেছি?

Last updated